পাখি চোখ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই বিহারের ফল বেরুলেই বাংলায় আসবেন অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা মীম সুপ্রিমো সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। পশ্চিমবঙ্গের মীমের কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে এ রাজ্যে তারা সংগঠন তৈরি করছেন। আসাদ সাহেব এলেই আরও তৎপরতার সঙ্গে দলের কাজ করবেন। মুর্শিদাবাদের মিম নেতা আসাদুল শেখ জানান, বিহারে চারটি আসন পেলেই আমরা খুশি। আসাদুদ্দিন ওয়েইসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, বিহার ভোটের পরেই বাংলায় আসবেন। আমরা তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
জানা গেছে, বিহার লাগোয়া বাংলার বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই বহু মীম কর্মী একুশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সারা রাজ্যে মিমের কাজ চললেও উত্তরবঙ্গে বেশি প্রভাব বলে জানা গেছে। রাজনীতি নিয়ে চর্চা করেন কলকাতার একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি এই প্রতিবেদককে বলেন, বাংলায় মুসলিমরা নিজেদের আলাদা দল করেনি। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের মধ্যেই আছেন। তবে কোনও সরকার মুসলিম উন্নয়ন করেনি বলে ক্ষোভ আছে। আজকের নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন। সেক্ষেত্রে মীমের আসাদুদ্দিন ওয়েসী বা আব্বাস সিদ্দিকীকে অনেকে ভালোবাসছেন।
কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকী ও আসাদুদ্দিন ওয়েসীর লড়াই তো বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে? ওই রাজনৈতিক পন্ডিতের জবাব,এমন হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী ও উত্তরবঙ্গে আসাদ সাহেব লড়বেন। নিজেদের মধ্যে বোঝাপাড়া করতে পারেন। তাছাড়া এমন সব আসনে লড়বেন যেখানে মুসলিম ভোট বেশি এবং বিজেপির জেতার সম্ভাবনা নেই। তবে বাংলায় মীম ভোটে দাঁড়ালে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসাতে পারেন বলে অনেকে মনে করেন। আর এক্ষেত্রে অনেক মুসলিম বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তবে মীম কর্মীরা বলছেন, চিন্তার কিছু নেই, নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার নিয়েই রাজনীতি হবে।