ট্রাম্প জমানায় সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির মুসলিমদের ওপর নারকীয় ও বর্বরোচিত নির্যাতন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাতে ইসরাইলকে উসকানি দিয়েছেন এবং ইন্ধন জুগিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ পূর্ব জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তাই ডনের বিদায়ে সবথেকে খুশি হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু বাইডেনের জয়ে তাঁরা খুব বেশি উৎফুল্ল নন। কারণ, সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকেই ফিলিস্তিনিরা উপলব্ধি করেছেন, কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টই তাঁদেরকে ইনসাফ দেয়নি। তাই বাইডেনের আমলেও যে তাঁরা সুবিচার বা অধিকার ফিরে পাবেন, এই আশায় বুক বাঁধতে পারছেন না বিশ্বের সবথেকে মজলুম ফিলিস্তিনিরা।
এখনও তাঁরা যথারীতি আশা ও আশঙ্কার দোলাচলেই ভুগছেন। তবে তাঁদের আশা, এবার হয়ত ইসরাইলি আগ্রাসন ও অত্যাচারের স্টিম রোলার কিছুটা কমবে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পরাজয়ে অন্ধকারতম অধ্যায়ের অবসান হতে চলেছে। ক্ষমতাসীন পিএলও-র নেতা হান্নান আশরাবি বলেছেন, বাইডেনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গীর আমূল পরিবর্তন চাই। বাইডেন ক্ষমতাসীন হলে ফিলিস্তিন তথা মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলো পুনর্বিবেচনা করবেন।
সূত্র- পুবের কলোম