নিজস্ব সংবাদদাতা: অনেক আন্দোলন, ধরনা, অনশনের পর ২০১৯ সালে প্রকাশ পায় আপার প্রাইমারি মেরিট লিস্ট। কিন্তু মেরিট লিস্ট প্রকাশ সমাধান নিয়ে আসেনি বরং বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলে। রাজ্য সরকার, কলকাতা হাইকোর্ট, শিক্ষা দফতরেরর নিকট অনুরোধ পৌঁছেছে সমস্ত জায়গা থেকে। তাতেও সমাধানের কোনও আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এবার তাই রাজ্যের এমএলএ, এমপি’র দ্বারস্থ হয়ে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা।
সারা রাজ্যব্যাপী ডেপুটেশন প্রদানের কর্মসূচীর অংশ হিসাবে মুর্শিদাবাদেরও বিভিন্ন বিধায়ক ও সাংসদদের ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচী শুরু হয়।
ফারাক্কা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাননীয় মইনুল হক মহাশয়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয় গত ১৬ ই জুন। ভগবানগোলা-১ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাননীয় মহসীন আলি মহাশয়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয় গত ২১শে জুন। সামশেরগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় আমিরুল ইসলাম মহাশয়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয় গত ২৫শে জুন। ভরতপুর-৬৯ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কমলেশ চ্যাটার্জি মহাশয়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয় গত ২৬শে জুন। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মাননীয় খলিলুর রহমান মহাশয়কে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় গত ২৭শে জুন। ২৭শে জুন খড়গ্রাম ব্লকের বিধায়ক শ্রী আশিষ কুমার মার্জিত মহাশয়কেও দেওয়া হয় ডেপুটেশন। আজ ২৮শে জুন ডেপুটেশন প্রদান করা হয় সুতি-২ বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় হুমায়ুন রেজা মহাশয় ও রানীনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরোজা বেগম মহাশয়াকে। অতি দ্রুত আপার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ও সম্পন্ন করার দাবিতেই দেওয়া হচ্ছে ডেপুটেশন – জানিয়েছেন আপার প্রাইমারী প্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, এই ভাবেই ধীরেধীরে রাজ্যের সমস্ত MLA ও MP-কে জেলা ও ব্লক ভিত্তিক ডেপুটেশন দেওয়া হবে।
তারা দাবী জানিয়েছোন, আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি ‘আর্জেট ম্যাটার হিয়ারিং’ এর ব্যবস্থা করা হোক এবং অতি দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করে করে আমাদের সাত বছরের নিয়োগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাত বছর ধরেও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। প্রথম ফর্ম ফিলাপ হয় ২০১৪ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে। টেট পরীক্ষা হয় ১৬ অগষ্ট, ২০১৫ সালে। TET রেজাল্ট বের হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ -তে। ইন্টারভিউ শুরু হয় জুলাই ২০১৯। আদালতের নির্দেশে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট বের হয় ৪ অক্টোবর, ২০১৯-এ। কিন্তু এরপরও দীর্ঘ সাত মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত হয়ে উঠল না নিয়োগ।